♥️ অনুপ্রেরণামূলক ও হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া কথা♥️
“নিজেকে হার মানাবেন না। শুরুতে জিতেছেন, শেষেও জিতবেন—মাঝপথের লড়াইটাই আসল। নিজেকে সময় দিন, নিজের প্রতিভাকে চিনুন, আল্লাহকে স্মরণ করুন। মনকে জিতিয়ে দিন, জীবন আপনিই জিতে যাবেন।”
Life is beautiful when both are understanding
♥️ অনুপ্রেরণামূলক ও হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া কথা♥️
“নিজেকে হার মানাবেন না। শুরুতে জিতেছেন, শেষেও জিতবেন—মাঝপথের লড়াইটাই আসল। নিজেকে সময় দিন, নিজের প্রতিভাকে চিনুন, আল্লাহকে স্মরণ করুন। মনকে জিতিয়ে দিন, জীবন আপনিই জিতে যাবেন।”
আলহামদুলিল্লাহ,
বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ্ রেজিস্ট্রার সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি, পটুয়াখালী ওয়ায়েজীয়া কামিল মাদরাসার সম্মানিত অধ্যক্ষ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নর ও ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সম্মানিত সদস্য, আলহাজ্ব কাজী মাওঃ শাহ মোঃ নেছারুল হক সাহেব বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনীত হওয়ায়
দিনাজপুর জেলা মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার সমিতির পক্ষ থেকে জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
আমরা তাঁর এই সাফল্যে গর্বিত এবং তাঁর দীর্ঘজীবন, সুস্থতা ও আরও সাফল্য কামনা করি।
আল্লাহ যেন তাঁকে দ্বীনি ও সামাজিক খেদমতে আরও বরকত দান করেন।🤲
“সবাই তোমাকে পছন্দ করবেনা, তাতে কিছু যায় আসে না। তুমি এগিয়ে চলো তোমার মতো, তোমার সত্য আর স্বকীয়তাই হোক তোমার পরিচয়।” 🌸✨
তোমার পথচলা হোক আত্মবিশ্বাসে ভরপুর,
তোমার কথা বলা হোক সত্য আর সাহসে গাঁথা —
কারণ তুমি যেভাবে নিজেকে গড়ো,
ঠিক সেভাবেই বিশ্ব তোমাকে চিনবে। 💫
নৈতিকতা (Ethics) এবং সংস্কার (Reform) দুটি আলাদা ধারণা, তবে এগুলোর মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে, বিশেষত সামাজিক ও মানবিক অঙ্গনে।
*নৈতিকতা (Ethics):*
নৈতিকতা বলতে মানুষের আচরণ ও মূল্যবোধের প্রতি নিয়ম বা নীতির একটি সমষ্টিকে বোঝায়, যা সমাজের মাঝে ভালো-মন্দের ধারণাকে নির্ধারণ করে। এটি ব্যক্তির বা সমাজের এমন কিছু আদর্শ ও আচরণ পদ্ধতি যা মানুষের দায়িত্ব, কর্তব্য এবং অপরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করে। নৈতিকতা সামাজিক, পারিবারিক, ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে।
উদাহরণ:
- সৎ কাজ করা
- অন্যের প্রতি সহানুভূতি এবং শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা
- দায়িত্বশীল আচরণ করা
*সংস্কার (Reform):*
সংস্কার হচ্ছে কোনো সিস্টেম, প্রথা বা প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন আনা যা কোনো সমস্যা বা ত্রুটি দূর করতে সাহায্য করে। এটি সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য অর্জনের জন্য সম্পাদিত হয়, যেমন সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বা ধর্মীয় ক্ষেত্রে। সংস্কার সাধারণত প্রাচীন বা অপ্রাসঙ্গিক নীতি বা বিধি পরিবর্তন করার মাধ্যমে একটি আধুনিক ও উন্নত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে।
উদাহরণ:
- শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার
- রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক সংস্কার
- সামাজিক অবিচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন বা সংস্কার
নৈতিকতা ও সংস্কারের সম্পর্ক ও সংস্কার একে অপরের সাথে সংযুক্ত। নৈতিকতা মানুষের আচরণ এবং মূল্যবোধকে নিয়ন্ত্রণ করে, যেখানে সংস্কার একটি উন্নত সমাজ গঠনের জন্য এই নীতিগুলোকে প্রয়োগ এবং বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করে। সমাজে পরিবর্তন আনার জন্য সংস্কারের প্রয়োজন, তবে এটি যদি নৈতিক আদর্শের ভিত্তিতে না হয়, তবে তা হয়তো অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলার কারণ হতে পারে।
সংক্ষেপে, *নৈতিকতা* মানুষের আচরণের ভিত্তি নির্ধারণ করে, আর *সংস্কার* সেই আচরণ ও নীতিগুলোর মাধ্যমে পরিবর্তন আনার প্রক্রিয়া।
শাবান মাস ইসলামী ক্যালেন্ডারের অষ্টম মাস এবং এটি অত্যন্ত বরকতময় মাস হিসেবে পরিচিত। এই মাসের কিছু বিশেষ ফজিলত (অবশ্যই) রয়েছে, যা মুসলিমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এখানে শাবান মাসের কিছু ফজিলত তুলে ধরা হলো:
1. *শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাতে বিশেষ ফজিলত*:
শাবান মাসের ১৫ তারিখ রাতে একটি বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এই রাতকে "লাইলাতুল বরাত" বলা হয়, যা "নিসা-ই-শাবান" বা "শব-ই-বরাত" নামেও পরিচিত। হাদিসে এসেছে যে, এই রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর সমস্ত সৃষ্টি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেন এবং সমস্ত মুমিনের জন্য দয়া ও ক্ষমা বর্ষণ করেন। এ রাতের ফজিলত অনেক বেশি এবং এই রাতে বিশেষভাবে ইবাদত, তাওবা, দু'আ, এবং নফল নামাজ আদায় করা উচিত।
2. *আল্লাহর ক্ষমা লাভের সুযোগ*:
শাবান মাসে আল্লাহ তাআলা বিশেষভাবে তাঁর বান্দাদের উপর দয়া করেন। এই মাসে বান্দা যদি তাওবা করে এবং নিজের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, তবে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। হাদিসে এসেছে যে, শাবান মাসের মাঝামাঝি আল্লাহ তাআলা পৃথিবীর প্রতি দৃষ্টি দেন এবং মুমিনদের ক্ষমা করে দেন, তবে যারা শিরক বা জঘন্য অপরাধে লিপ্ত থাকে, তাদের ক্ষমা করা হয় না।
3. *রোজা রাখার ফজিলত*:
শাবান মাসে রোজা রাখার অনেক ফজিলত রয়েছে। হাদিসে এসেছে, "আমার সবচেয়ে প্রিয় রোজা হলো শাবান মাসের রোজা, কারণ এটি রমজান মাসের কাছাকাছি সময় আসে।" (সহীহ মুসলিম)। শাবান মাসে রোজা রাখা নফল ইবাদতের অংশ হিসেবে খুবই মহৎ কাজ।
4. *দোয়া এবং ইবাদত বৃদ্ধি*:
*জুম্মা মুবারক: মুসলমানদের জন্য একটি অন্যতম প্রিয় দিন*
জুম্মা মুবারক মুসলমানদের জন্য একটি অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। এটি সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন, যখন মুসলমানরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর ইবাদত করে, দোয়া ও প্রার্থনায় অংশ নেয় এবং নিজেদের আত্মার পরিশুদ্ধি সাধন করে।
কুরআন এবং হাদীসের আলোকে জুম্মা দিবসের গুরুত্ব:
*১. কুরআনের বাণী:*
আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন:
“যখন কোন আহ্বানকারী আল্লাহর জন্য আহ্বান করে, তোমরা তা দ্রুত গ্রহণ করো, আর আল্লাহর স্মরণে মনোনিবেশ করো।” (সূরা জামআহ, ৬২: ৯)
এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন যে, জুম্মার দিনের নামায অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মুসলমানদের জন্য এটি অবশ্য পালনীয়।
*২. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হাদীস:*
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
“জুম্মার দিন হচ্ছে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন, এই দিনে আল্লাহ এক বিশেষ দান দেন। যে ব্যক্তি এই দিনে ভালোভাবে স্নান করে, সুন্দর পোশাক পরিধান করে এবং সঠিকভাবে জুম্মার সালাত আদায় করে, তার গুনাহ মাফ করা হয়।” (সহীহ মুসলিম)
এছাড়া, রাসূল (সাঃ) আরো বলেছেন:
“জুম্মার দিন মুসলমানদের জন্য একটি দান, যে ব্যক্তি এই দিনে আল্লাহর সান্নিধ্যে আসার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করবে, তার জন্য একাধিক সওয়াব প্রস্তুত থাকবে।” (বুখারি)
*৩. জুম্মার দিনে দোয়ার গুরুত্ব:*
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
"জুম্মার দিনে এক মুহূর্ত এমন আসে, যখন আল্লাহ বান্দার দোয়া মঞ্জুর করেন।" (সহীহ বুখারি)
# কৃতজ্ঞতা প্রকাশ #
পহেলা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শনিবার সকাল ১০টায় দিনাজপুর জেলা মুসলিম নিকাহ্ রেজিস্ট্রার সমিতির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন'২৫ বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ্ রেজিস্ট্রার কেন্দ্রীয় সমিতির সভাপতি জনাব প্রিন্সিপাল শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক, নির্বাহী সভাপতি জনাব মো:ইকবাল হোসেন মহাসচিব জনাব মো: সেলিম রেজা,সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মশিউর রহমান (জামালপুর) রংপুর বিভাগ ও বিভাগের সকল জেলা সমিতির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে কাজী দের মহা মিলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কাজীদের সকল দাবি দাবা আদায়ে অতিসত্বর আইন উপদেষ্টার সাথে বসে সোচ্চার হবেন এই মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরে দিনাজপুর জেলা কাজী সমিতির গ্রহণযোগ্য ও সার্বজনীন,সৎ দক্ষ যোগ্যদের মধ্যে ৭ উপদেষ্টা ও ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ ৩ বৎসরের জন্য নবনিযুক্ত কমিটি গঠন হয়, এতে সভাপতি নির্বাচিত হন জনাব মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন প্রমুখ। এত সুন্দর আয়োজন করার জন্য দিনাজপুর জেলা কাজী সমিতির আওতাধীন সকল কাজী ভাইদের অসংখ্য ধন্যবাদ। বিশেষ করে আব্দুস সাত্তার ভাই,মিজানুর ভাই, হামিদুল ভাই, মনোয়ার ভাই সহ আরও অনেকে।
একটি শোক সংবাদ
দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার আমাদের প্রিয় ও সম্মানিত প্রবীণ কাজী জনাব ওয়াহিদুননবি সালামী সাহেব আজ সোমবার ২৭/০১/২০২৫ খ্রীঃ রাত ৯টায় বার্ধক্যজনিত কারনে তার নিজ বাসবভবনে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত।
তিনি ছিলেন একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ কাজী, যিনি তার জীবদ্দশায় মানুষের সেবায় কাজ করেছেন এবং সমাজে নিজে একটি অমূল্য অবদান রেখেছেন।
আমরা তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি এবং আল্লাহ তাআলা যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। আগামীকাল বাদ জোহর পার্বতীপুর উপজেলার আদর্শ সরকারী কলেজ মাঠ প্রাংগনে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হইবে। পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। তাঁর পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাই।
এমন একজন মহান ব্যক্তিত্বের অকাল প্রয়াণে আমরা শোকাহত, তবে তার শিক্ষণীয় জীবন এবং অবদান আমাদের মনে চিরকাল অম্লান হয়ে থাকবে।
দিনাজপুর কাজী অফিস,নতুন বছরের প্রথম দিনটি সবার জন্য আনন্দ, আশা এবং উদ্দীপনার বার্তা নিয়ে আসে। দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী নয়নপুর কাজী অফিস । বিয়ে নিবন্ধন থেকে শুরু করে পরিবারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজের কেন্দ্রবিন্দু এই অফিস। নতুন বছরে এই অফিস আরও ভালো সেবা দিতে বদ্ধপরিকর।
আসুন, আমরা সবাই নতুন বছরকে স্বাগত জানাই ভালোবাসা, সম্মান এবং দায়িত্ববোধ নিয়ে। হ্যাপি নিউ ইয়ার । 😊
এক লোক রাতে বাড়িতে এসে দেখেন, তার সন্তানরা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলেন, 'ওরা নামায পড়েছে'?
স্ত্রী বললেন, 'বাড়িতে কোনো খাবার ছিলোনা। সবাই ক্ষুধায় কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছে। নামায পড়েনি'।
'ওদেরকে জাগিয়ে দাও। ওরা নামায পড়ুক'।
'ওদেরকে জাগিয়ে উঠালে খাবার না পেয়ে ওরাতো ক্ষুধায় আবার কান্না-কাটি করবে'।
'ওদেরকে জাগিয়ে দিতে বলেছি জাগিয়ে দাও। আমার আদেশ পালন করো। তাদের রিজিকের দায়িত্ব আমার না। রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহ তাআ’লার উপর'।
আল্লাহ তাআ’লা কোরআনে বলেছেন,
وأمر أهلك بالصلاة واصطبر عليها لا نسألك رزقا نحن نرزقك والعاقبة للتقوى}
"তোমার পরিবারবর্গকে নামাযের আদেশ দাও এবং তার উপর অবিচল থাকো। আমি তোমার কাছে কোন রিযিক চাইনা আমিই তোমাদেরকে রিযক দান করি। শুভ পরিণাম তো শুধুমাত্র মুত্তাকীদের জন্য"।
(১৩২ - সূরা ত্বহা)
একথা শুনে স্ত্রী তৎক্ষণাৎ সন্তানদের জাগিয়ে নামাযে দাঁড় করিয়ে দিলেন।
নামায শেষ করে যখন তারা উঠলো। এমন সময় দরজার বাইরে থেকে সালামের আওয়াজ ভেসে আসলো। দরজা খুলে দেখা গেলো, এক লোক তার কাধে অনেক খাবার। লোকটি বললো, 'এগুলো আপনার পরিবারের জন্য। গ্রহণ করুন'।
লোকটি কৈফিয়তের সুরে আরো বললো, 'শহর থেকে একজন নেতা আমার বাসায় মেহমান হয়ে এসেছিলেন। তার সামনে আমি খাবারগুলো পরিবেশন করলাম। কিন্তু খাবার শুরু করার পূর্বেই আমাদের মাঝে প্রচন্ড কথা কাটাকাটি হয়ে গেলো। মেহমান রাগান্বিত হয়ে কিছু না খেয়েই চলে গেলেন।
অতঃপর আমি খাবারগুলো নিয়ে বের হলাম। ভাবলাম, আল্লাহ যেদিকেই নেন, যেখানে নেন সেখানে খাবারগুলো দিয়ে আসবো। আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি, হাঁটতে হাঁটতে আমি আপনার দরজায় এসে দাড়িয়ে গেলাম। আমি বুঝতে পারছিনা, কে আমাকে আপনার দরজার সামনে এনে দাঁড় করিয়ে দিলো'!
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের সবাইকে সালাত আদায় করার এবং তার দেয়া অশেষ নিয়ামত ও রিজিকের উপর পূর্ণ বিশ্বাস ও অবিচল থাকার তৌফিক দান করুক! আমিন!🤲🖤 Collected...
মহিলারা এবং পর্দার বিধান
بسم الله الرحمن الرحيم
ড. সাইয়্যেদা হিনা ফাতিমা মুম্বাইয়ের বাসিন্দা, একজন সৎ ও ধার্মিক নারী এবং নারীদের শিক্ষা ও সংশোধনের ক্ষেত্রে সক্রিয়। তিনি জিজ্ঞেস করেছেন: মহিলাদের পর্দার বিধান কী?
✍️উত্তর (সংক্ষেপিত):স্বামী ছাড়া অন্যান্য পুরুষ ও নারীদের থেকে পর্দার বিধান রয়েছে, তবে এটি সবার জন্য এক নয়। নিচে মূল বিষয়গুলো উল্লেখ করা হলো।
মূল পর্দা:
নারীর মুখমণ্ডল, হাতের তালু এবং পা (হানাফি মাজহাব অনুযায়ী) ছাড়া পুরো দেহ "আওরত"। এ অংশগুলোর পর্দা করা ফরজ। আল্লাহ বলেন:
“তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তবে যা আপনা-আপনি প্রকাশ পায়।”
(সূরা আন-নূর, আয়াত ৩১)
মাহরাম পুরুষদের সামনে:
মুখ, মাথা, হাত, ও পা প্রকাশ করা যায়। কিন্তু অন্য অংশগুলো ঢেকে রাখতে হবে।
নারীদের মধ্যে পর্দা:
নারীদের নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখা জরুরি।
আপৎকালীন পরিস্থিতি:
প্রয়োজনে ডাক্তারি বা সাক্ষ্যের জন্য পর্দার শিথিলতা রয়েছে।
মূল:
ড. মুহাম্মদ আকরাম নাদভী, অক্সফোর্ড।
অনুবাদ যাচাই ও সম্পাদনা:
মাওলানা মারজান আহমদ, সিলেট, বাংলাদেশ।
বাল্যবিবাহ বা শিশুবিবাহ একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা, যা অনেক দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে দেখা হয়। এটি কিশোরী এবং কিশোরদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে।
বাল্যবিবাহের সুফল (যদিও এগুলি বাস্তবে অনেক সময় ক্ষতিকর)
বাল্যবিবাহের কিছু সাধারণ "সুফল" হিসেবে কিছু লোক মনে করে যে:
অর্থনৈতিক সুবিধা: কিছু পরিবার এটিকে আর্থিক সমাধান হিসেবে দেখে, কারণ মেয়েটির বিয়ে দিয়ে পরিবারের বোঝা কমানো হতে পারে।
সংস্কৃতি বা ধর্মীয় ঐতিহ্য: কিছু সমাজে এটি ঐতিহ্যগতভাবে গৃহীত হতে পারে এবং এটি পরিবারের সম্মান বা সামাজিক অবস্থান বজায় রাখার একটি উপায় হিসেবে দেখা হয়।
তবে, এই সুফলগুলি আপাতত মনে হলেও, দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব সবসময়ই নেতিবাচক।
বাল্যবিবাহের কুফল
বাল্যবিবাহের বাস্তব কুফলগুলি অত্যন্ত গুরুতর এবং দীর্ঘমেয়াদী:
শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি: বাল্যবিবাহে লিপ্ত মেয়েরা শারীরিকভাবে পূর্ণবয়স্ক না হওয়ায় গর্ভধারণ এবং প্রসবকালীন জটিলতার শিকার হতে পারে। তারা মানসিকভাবেও প্রস্তুত না থাকায় নানা ধরনের মানসিক চাপ এবং সমস্যায় পড়ে।
শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ: বাল্যবিবাহের ফলে মেয়েরা সাধারণত স্কুল ছেড়ে দেয়, যার ফলে তাদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত হয়ে যায়।
অর্থনৈতিক অবস্থা: পরিবারের জন্য একটি অর্থনৈতিক বোঝা হতে পারে কারণ বাল্যবিবাহের ফলে মেয়েরা কম বয়সে সন্তান জন্ম দিতে শুরু করে, যা ভবিষ্যতের জন্য আরও আর্থিক চাপ সৃষ্টি করে।
মেয়েদের অধিকার লঙ্ঘন: বাল্যবিবাহ মেয়েদের মৌলিক অধিকার যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে।
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের জন্য বেশ কিছু কার্যকর উপায় রয়েছে:
আইনগত ব্যবস্থা: সরকারী স্তরে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে এবং বাল্যবিবাহের শিকারদের জন্য আইনগত সহায়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষা প্রচার: জনগণকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে সচেতন করা এবং মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ বাড়ানো। শিক্ষার মাধ্যমে মেয়েরা নিজেদের অধিকারের সম্পর্কে জানতে পারে এবং জীবনে আরো ভাল সুযোগ পায়।
আর্থিক সহায়তা: পরিবারগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে পারে, যাতে তারা তাদের মেয়েদের বাল্যবিবাহে বাধ্য না করে।
সামাজিক সচেতনতা: বাল্যবিবাহ সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনা। এটি স্থানীয় সমাজ, ধর্মীয় নেতাদের এবং বিভিন্ন এনজিও-র মাধ্যমে করা যেতে পারে।
বাল্যপ্রেম
বাল্যপ্রেম একটি নতুন সামাজিক চিন্তা যা বেশ কিছু ক্ষেত্রে শিশুদের ও কিশোর-কিশোরীদের জীবনে অতিরিক্ত প্রভাব ফেলছে। তবে, এটি বাল্যবিবাহের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, যা প্রায়ই আবেগজনিত বা অবাধ মেলামেশার ফলস্বরূপ ঘটে। বাল্যপ্রেম বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অপরিণত, আবেগপ্রবণ, এবং পূর্ণাঙ্গ সম্পর্কের জন্য প্রস্তুত না হওয়া অবস্থায় ঘটে। এটি শিশুদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যেও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
সুতরাং, বাল্যপ্রেমের মধ্যে যদি কোনো দায়িত্বশীলতা ও প্রাপ্তবয়স্ক সম্পর্কের বৈশিষ্ট্য না থাকে, তবে এটি ক্ষতিকর হতে পারে এবং তাদের জীবনের ভবিষ্যৎ দিকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
শেষকথা
বাল্যবিবাহ এবং বাল্যপ্রেম থেকে মুক্তির জন্য আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে—গবেষণা, শিক্ষা, আইন, এবং সমাজিক প্রচার আরও বেশি ফলপ্রসূ করতে হবে, যেন ভবিষ্যতে এমন সমস্যাগুলি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়।
মা ৯ মাস বহন করেন, বাবা ২৫ বছর ধরে বহন করেন।
উভয়ই সমান, তবুও কেন
বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানিনা।
মা ,বিনা বেতনে সংসার চালায়, বাবা তার সমস্ত বেতন সংসারের জন্য ব্যয় করেন, উভয়ের প্রচেষ্টাই সমান।
মা, আপনার যা ইচ্ছা তাই রান্না করেন, বাবা , আপনি যা চান তা কিনে দেন, তাদের উভয়ের ভালবাসা সমান, তবে মায়ের ভালবাসা উচ্চতর হিসাবে দেখানো হয়েছে। জানিনা কেন
বাবা পিছিয়ে।
ফোনে কথা বললে প্রথমে মায়ের সাথে কথা বলতে চান,
কষ্ট পেলে ‘মা’ বলে কাঁদেন। আপনার প্রয়োজন হলেই
আপনি বাবাকে মনে রাখবেন, কিন্তু বাবার কি কখন খারাপ লাগেনি যে আপনি তাকে অন্য সময় মনে করেন না?
ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে ভালবাসা পাওয়ার ক্ষেত্রে,
প্রজন্মের জন্য, বাবা কেন পিছিয়ে আছে জানি না।
আলমারি ভরে যাবে রঙিন শাড়ি আর বাচ্চাদের অনেক জামা-কাপড় দিয়ে
কিন্তু বাবার জামা খুব কম, নিজের প্রয়োজনের তোয়াক্কা করেন না, তারপরও কেন যেন
বাবা পিছিয়ে আছেন।
মায়ের অনেক সোনার অলঙ্কার আছে, কিন্তু বাবার একটাই ,আংটি আছে যেটা তার বিয়ের সময় দেওয়া হয়েছিল।
তবুও মা কম গহনা নিয়ে অভিযোগ করতে পারেন,
আর বাবা করেন না। তারপরও জানি না কেন বাবা পিছিয়ে।
বাবা সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করেন পরিবারের যত্ন
নেওয়ার জন্য, কিন্তু যখন স্বীকৃতি পাওয়ার কথা আসে,
কেন বাবা পিছিয়ে থাকেন।
মা বলে, আমাদের এই মাসে কলেজের টিউশন দিতে হবে,
দয়া করে আমার জন্য উৎসবের জন্য একটি শাড়ি কিনবে
অথচ বাবা নতুন জামাকাপড়ের কথাও ভাবেননি। দুজনেরই
ভালোবাসা সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে।
বাবা-মা যখন বুড়ো হয়ে যায়, তখন বাচ্চারা বলে, মা ঘরের
কাজ দেখাশোনা করার জন্য অন্তত উপকারী,
কিন্তু তারা বলে, বাবা অকেজো।
বাবা পিছনে কারণ তিনি পরিবারের মেরুদণ্ড। আর আমাদের
মেরুদণ্ড তো আমাদের শরীরের পিছনে।
আমরা নিজেদের মতো করে দাঁড়াতে পারছি সেই বাবার কারনেই। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে পিতা-মাতা উভয়কে সঠিক সম্মান করার তৌফিক দান করুক। আমীন।
কারণেই তিনি পিছিয়ে আছেন...!!!!
*জানিনা কে লিখেছে, কুড়িয়ে পাওয়া। সমস্ত বাবাদের-কে উৎসর্গ করছি * স্যালুট জানাই পৃথিবীর সকল বাবাকে